নিউজ ডেস্ক: যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আটদিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট আবার উৎপাদনে ফিরেছে। এ ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ইউনিটটি সচল রাখতে দৈনিক ৬০০ থেকে ৮০০ মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হবে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রথম ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট এবং তৃতীয় ইউনিটটির উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে প্রায় পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।
গত ৬ ডিসেম্বর বেলা পৌনে ১২টার দিকে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। আটদিন বন্ধ থাকার পর মেরামত কাজ শেষ করে প্রথম ইউনিটে আবার উৎপাদন শুরু হয়। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, প্রথম ইউনিটের মেরামত শেষে দুপুর ২টায় বয়লারে ফায়ারিং করা হয়। রাত পৌনে ৯টা থেকে ইউনিটটি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিটটির মেরামত কাজ চলমান রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরবে।