লালমনিরহাট: জরাজীর্ন এ সেতুটির মেয়াদ শেষ। তবুও প্রতি নিয়ত শত শত যানবাহন চলাচল করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। সেতু পারাপার হতে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পড়ছেন চরম বিপাকে। যেকোনো সময় ভেঙে পরে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নটি কৃর্ষি নির্ভর। ওই এলাকার ৩০-৩৫ হাজার মানুষের কৃষি পন্য সহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাজে পারাপার হয় ওই ব্রিজ দিয়ে। উপজেলা ও জেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র স্থান দুর্গাপুর ভেলাবাড়ী রাস্তা। এ রাস্তায় কালীরহাট এলাকায় রত্নাই নদীর উপর ৮০’র দশকে নির্মিত সেতুটি বয়সের ভারে নূয়ে পড়লেও দীর্ঘদিনেও করা হয়নি কোন সংস্কার কাজ। ফলে সেতুটির রেলিং ও পিলার ভেঙে পরিনত হয়েছে মরন ফাঁদে।
যানবাহন পারাপারের সময় সেতুটি কেঁপে ওঠে খসে পড়ে প্লাস্টার। একটি গাড়ি সেতুর উপর উঠলে অপরদিকে দাড়িয়ে থাকে আন্য যানবাহন। ঝুকিপুর্ন এ সেতুটি পারাপার হতে গিয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকে। সেতুটি পুন:নির্মাণ করা দীর্ঘ দিনের দাবী ওই এলাকার মানুষের।
স্থানীয়রা জানায়, আদিতমারী উপজেলার কৃষিনির্ভর, সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা দুর্গাপুর ইউনিয়নকে উপজেলা ও জেলা শহরের সাথে সংযুক্ত করার একমাত্র পথ হল এই সেতু। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি
তারা বলেন, এই এলাকার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষের যাতায়াত এবং পণ্য আনা নেয়া খুবই কষ্টকর হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহনের জন্য এই পথ অপরিহার্য। কিন্তু অনেকের জন্য, ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পার হতে ইতিমধ্যেই ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ফরিদুল ইসলাম বলেন, এই সেতুটি 'মৃত্যুফাঁদে' পরিণত হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এটি পুন:নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু কেউ উদ্যেগ নেয়নি।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, "জরাজীর্ণ সেতুটির জরিপ এবং মাটি পরীক্ষা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। নকশার কাজ চলছে এবং দ্রুত পুনর্নির্মাণ শুরু করার জন্য আমরা নির্বাহী প্রকৌশলী বরারর আবেদন করেছি।
লালমনিরহাট এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কাওছার আলম বলেন, জরাজীর্ন সেতুটির ইতিমধ্যে টপস্ সার্ভে সয়েল টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। ডিজাইনের কাজ চলছে দ্রুত সময়ে দরপত্র আহবান করে কাজ শুরু করা হবে।