আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

রংপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যান্ডার পর আত্মহত্যা বলে প্রচারণা

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪, রাত ১০:০১

Advertisement Advertisement

মমিনুল ইসলাম রিপন রংপুর।।রংপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী ছইদার রহমান ওরফে সহিদার (৩৬) তা আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালিয়েছে। সেই সাথে লাশ ময়না তদন্ত না করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য পায়তারা করে সহিদার। এঘটনায় ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুলিশ ঘাতক স্বামীক গ্রেফতার করেছে।

রবিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান জানান, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সহিদার স্থানীয় বাজারে নাইট গার্ডের ডিউটি শেষেভোরে তার নিজের বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়ে। নিলুফা দুপুর বেলায় স্বামী সহিদারকে ঘুম থেকে একাধিকবারডেকে গরুকে পানি খাওয়ানোর জন্য বলে। এতে সহিদার বিরক্ত ও রাগান্বিত হয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট ধরেনিলুফার গলা টিপে ধরে। এতে নিলুফা নিস্তেজ হয়ে পড়লে সহিদার তাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানার উপরে ফেলে রেখে আলু ক্ষেতে পানি দিতে চলে যায়। এর আধাঘন্টা পর বাড়িতে চিৎকার শুনে ফিরে আসে সহিদার।

হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নিলুফার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয়। এসময় নিলুফারকে বদরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় স্বামীসহিদার প্রভাবিত করে নিলুফারের বাবাসহ পরিবারের কাউকে অপমৃত্যুর মামলা করতে দেয়নি। সেই সাথে লাশ
ময়না তদন্ত করতে না দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। সম্প্রতি নিলুফার মৃত্যুর ফরেনসিক প্রতিবেদন পুলিশের কাছেআসলে সন্দেহভাজন স্বামী সহিদারকে ১৩ জুলাই রাত আড়াইটায় বদরগঞ্জ উপজেলার কচুবাড়ির হাট থেকেগ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে শ্বাসরোধ করে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় ১৩
জুলাই নিলুফার বাবা আব্দুল মমিন বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান বলেন, নিলুফারের মৃত্যুর পর তার স্বামী সহিদার পাগলের মত আচারণ করছিলো। যেন স্ত্রীকে ছাড়া তার বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। সেই সাথে নিলুফার লাশ যেন ময়না তদন্ত না করা হয় সেই চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশ সদস্যদের বিচক্ষনতার কারণে তারা সেই সময় লাশ ময়না তদন্ত করেছিলে বলেই হত্যাকারী ও হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, ইফতে খায়ের আলমসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

মন্তব্য করুন


Link copied