ডেস্ক: সারা দেশে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ থাকবে আরও দুই থেকে তিন দিন। তবে এটিই শেষ কামড় নয়। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে আরও একবার শৈতপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
রাজধানীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের দাপটে থমকে গেছে ব্যস্ততম নগরীর নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন।
কুয়াশার চাদরে মোড়া তিলোত্তমা ঢাকা। ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার বেগে বইছে হিমেল হাওয়া। সকাল ৯টায় নগরীর ব্যস্ততম কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায় ঠান্ডায় জুবুথবু অবস্থা। তারপরও থেমেনি নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জীবন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহের শীতল বাতাস। গোটা রাজধানীই কাঁপছে হাড়কাঁপনি শীতে। কারণ বাতাসে আর্দ্রতা ৫৫ শতাংশ।
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ডের দিনটিতে কারওয়ান বাজার রেললাইনের ধারে কথা হয় ষাটোর্ধ্ব নুরুল ইসলামের সঙ্গে। তীব্র ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আখের খড় জ্বালিয়ে উষ্ণতার খোঁজে হতদরিদ্র পরিবারটির মানুষ।
প্রচণ্ড শীতে নুরুল ইসলামের মতোই ভোগান্তিতে ঢাকার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। সকালের হিম হাওয়া উপক্ষো করেই যাদের ছুটতে হচ্ছে জীবিকার খোঁজে।
মাঘের মাঝামাঝি এসে সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত। বিশেষ করে শীতের দাপটে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে ঢাকায়ও।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অবশ্য বলছে, দেশজুড়ে চলা এ শৈত্যপ্রবাহ চলবে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত।
ঢাকা আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক কাওসারা পারভীন বলেন, বাংলাদেশের সব জায়গাতে তাপমাত্রা কমে গেছে, এ শৈত্যপ্রবাহ থাকবে আরও ২ থেকে ৩ দিন।
তবে শীতের কামড় হয়তো এটাই শেষ নয়। কারণ ফেব্রয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আরও এক দফা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আভাস আবহাওয়াবিদদের।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
এদিকে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, চলমান শৈত্যপ্রবাহটি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগামী দু-একদিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে সামান্য কিছুটা বাড়তে পারে এবং কিছু স্থান থেকে শৈত্যপ্রবাহটি প্রশমিত হতে পারে।