আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম যখন নিম্নমুখী তখন কেন দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কেন- এ প্রশ্নে বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, “প্লাটসের (জ্বালানি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান) হিসাবে, পহেলা অগাস্ট প্রতি ব্যারেল পরিশোধিত তেলের দাম ছিল ১৩২ ডলার ৭৩ সেন্ট। কমে সেটা ৮ অগাস্ট ১১৮ ডলার ৫০ সেন্ট। গড়ে ১২৬ ডলার ৫৯ সেন্ট। এর সঙ্গে প্রতি ব্যারেলে ১১ ডলার প্রিমিয়াম, ট্যাক্স-ভ্যাট, ডিলার কমিশন যোগ হবে।
“এই আটদিনের তথ্যে… ছয় তারিখে যখন মূল্য নির্ধারিত হয়, তখন গত জুলাই মাসের গড় হিসাবে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই আটদিনের গড় হিসাব ধরলে আমার প্রতি লিটার (ডিজেল) পড়ে ১২০ টাকা ১৬ পয়সা। এই হিসাবে আমাদের এখনও ৬ টাকা লোকসান আছে।”
পেট্রোল ও অকটেনে লাভ কত হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই আট দিনের গড় যদি করি, ২৫ টাকার মতো লাভ থাকছে অকটেনে। যেহেতু পেট্রোল ৫ টাকা কম রাখছি। সেহেতু কিছুটা কম হলেও হতে পারে।”
দেশে অবশ্য জ্বালানি তেলের মধ্যে ডিজেলের ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিভিন্ন ধরনের ৬৩ লাখ মেট্রিক টন তেল বিক্রি করেছে বিপিসি। এর মধ্যে প্রায় ৭৩ শতাংশই ডিজেল। অকটেন ৫ শতাংশ এবং পেট্রোল ৬ শতাংশের মতো।
বিপিসির ভবিষ্যৎ মুনাফা নিয়ে আজাদ বলেন, “যদি ডিজেল ও অকটেন জুলাই মাসের পরিমাণই বিক্রি হয়, তাহলে ডলারের সরকারি হিসাব হলে আমার ২০৫ কোটি টাকা মুনাফা থাকবে মাসে। আর যদি ডলার এখনকার মার্কেট রেটে যায়, তাহলে আমার লোকসান হয়ে যায় ৩৯ কোটি টাকা।”