আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

তিস্তা অববাহিকায় ফের বন্যা; খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ জলকপাট

বুধবার, ২৯ জুন ২০২২, বিকাল ০৬:২৯

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী: নীলফামারীর তিস্তা অববাহিকায় ফের বন্যা দেখা দিয়েছে।  অতিভারী বৃস্টি ও গোজলডোবার জলকপাট খুলে দেয়ায় উজানের ঢলে বুধবার  তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২.৬০) ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

সকাল থেকে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার (৫২.৫৫) নিচে থাকলেও বেলা ১২ টায় তা বিপদসীমা (৫২.৬০)অতিক্রম করে দুই সেন্টিমিটার (৫২.৬২) ও বেলা ৩টায় ৭ সেন্টিমিটার  উপর (৫২.৬৭) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।এদিকে উজানের পানির চাপ সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ২১ জুন সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। তার আগের দিন ২০ জুন সর্বোচ্চ ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। এতে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ২২ জুন থেকে দফায় দফায় পানি কমতে শুরু করলে এসব গ্রামের সব বাড়িঘর থেকে পানি নেমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এ ছাড়া ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি মসজিদপাড়ায় বিধ্বস্থ স্বপন বাঁধের ৫০ মিটার মঙ্গলবার সংস্কার করা হওয়ায় ওই গ্রামের ২৮০ পরিবারের বসতঘরের মানুষজন নিজবাড়িতে ফিরে যায়। এবার দ্বিতীয় দফায় তিস্তার বন্যায় এলাকা ফের বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে। ডিমলার ঝাড়শিঙ্গেশ্বর এলাকায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে জানান পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান। চরখড়িবাড়ি, ছোটখাতা, বানপাড়া, ছাতুনামা ভেন্ডাবাড়ি গ্রামের উপর দিয়ে তিস্তার পানি বৈইছে। ওই সকল এলাকার প্রায় দুই হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পুর্বাভাস ও সর্তককরন কেন্দ্র সুত্র জানায় গত ২৪ ঘন্টায় নীলফামারীর তিস্তা অববাহিকায় ১৪৮ মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তবে উজানের ভারতের জলপাইগুড়ি তিস্তা অববাহিকায় ২৪ ঘন্টায় বৃস্টিপাত করা হয় ৩৯৩.৪ মিলিমিটার। এ ছাড়া তিস্তার গজলডোয়া পানি ছাড়া হয়েছে এক হাজার ২০০ কিউমেক। 
এদিকে বাংলাদেশ অংশের নীলফামারীর কালিগঞ্জ জিরোপয়েন্টে দিয়ে তিস্তার উজানের পানি হু-হু করে বেড়ে চলেছে। এতে তিস্তার ১৫টি চর এলাকা প্লাবিত হয়ে ফসলি জমি ও বসতভিটা তলিয়ে গেছে। 
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, তিস্তায় পানি বাড়ছে আবার। বর্তমানে বিপসীমার ৭ সেন্টিসিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচেছ। আমরা পর্যবেক্ষন করছি। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট  খুলে রাখা হয়েছে। এই সকল জলকপাট দিয়ে প্রতি মিনিটে সারে ৪ লাখ কিউসেক করে পানি অতিক্রম করছে।

মন্তব্য করুন


Link copied