শেখ মাজেদুল হক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বপ্নের জাদুকর রাজনৈতিক কবি বঙ্গবন্ধুর অকুতোভয় বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষ পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে মুক্তির স্বাদ পায়। পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয় লাল-সবুজের স্বাধীন দেশ বাঙালির জাতির প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এবং আমাদের স্বাধীনতা একই সূত্রে গাঁথা। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে, যতদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।১৫ আগস্ট জাতীয় শোকের দিন। বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। কেননা পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে।
পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম ও বর্বরোচিত এই হত্যাকান্ডে ঘাতকচক্র একই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ তার পরিবারের ১৬ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিপরীত দিকে প্রবাহিত করার কাজ শুরু হয়। ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের সুবেহ সাদেকে বাঙালির নয়নমণি বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের নির্মম হত্যাকান্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় কারবালা প্রান্তরে ইমাম হোসেন (রাঃ) এবং তাঁর পরিবারের মর্মান্তিক হত্যাকান্ড। স্মরণ করিয়ে দেয় ২৩ জুন, ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে পাতানো যুদ্ধের পরাজয়ের পর বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর চক্রের হাতে মুর্শিদাবাদে নির্মমভাবে শহীদ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং তাঁর পরিবারের বিয়োগান্তক ঘটনা। আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, Some people can be fooled for some time, But all people can not be fooled for all time (কিছু সময়ের জন্য কিছু লোককে হয়তো বোকা বানানো যায়, কিন্তু সব লোককে সব সময়ের জন্যে বোকা বানানো যায় না)।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফেরার পর সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “যে মানুষ মরতে রাজি, তাকে কেউ মারতে পারে না। আপনি একজন মানুষকে হত্যা করতে পারেন। সেটা তো তার দেহ। কিন্তু তার আত্মাকে কি আপনি হত্যা করতে পারেন? না তা কেউ পারে না। এটাই আমার বিশ্বাস।” একই বছরে অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এনবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক পল নিক্সনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমি পেয়েছি কোটি কোটি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস আর ভালোবাসা। যে দিন এই মানুষের জন্যে আমার জীবন দিতে পারবো, সে দিন আমার আশা পূর্ণ হবে, এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করি না।”যিনি শুধু ভালোবেসে গেছেন ভালোবেসেছেন এদেশের মাটি মানুষ প্রকৃতিকে। যার জন্মই হয়েছে অপরকে দেয়ার জন্য।এরকম ক্ষণজন্মা পুরুষ ইতিহাসে মাত্র কয়েকজন। তাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন যে আপনার সবচাইতে বড় শক্তি কি? উনি বলেছিলেন আমি এদেশের মানুষকে বেশি ভালোবাসি। আপনার দুর্বলতা কি? তার উত্তরে বলেছিলেন- আমি এদেশের মানুষকে বড় বেশি ভালোবাসি। তিনি সারা পৃথিবীর গণমানুষের নেতা হয়ে উঠেছিলেন। অন্যায়ের সাথে করতেন না আপস। সবসময় বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়াতেন। ন্যায় বিচারের রূপকার ছিলেন তিনি। চিন্তা-চেতনায় ছিলেন সৎ, বিবেগবান, সুষম বন্টনকারী, ন্যায় ও আদর্শের গণমানুষের নেতা। তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন পরের কল্যাণে।
এই দুই বিদেশি সাংবাদিককে দেয়া দুটি সাক্ষাৎকার দেখে মনে হয় দেশের জন্যে, দেশের মানুষের জন্যে জীবন দেয়ার এক চরম আত্মত্যাগের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ১৯৭২ সালে রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন বাঙালির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা যখন অর্জিত হলো, তার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় প্রাণ দিতে হলো তাঁকে। তিনি কখনোই বিশ্বাস করতেন না, কোনো বাঙালি তাঁকে হত্যা করতে পারে। কিন্তু তিনি জানতেন না, এই বাঙালিদের মধ্যে কারো কারো শরীরে বইছে মীরজাফরের রক্ত। তাই-ই ২৩ বছরের সংগ্রামে অর্জিত স্বাধীন বাংলার মাটিতে তাঁকে জীবন দিতে হলো সেই নব্য মীরজাফরদের হাতে। জাতির পিতার রক্তে রঞ্জিত হলো তাঁরই স্বপ্নের সোনার বাংলা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রচিত হলো সেই বিশ্বাসঘাতকতার কালো ইতিহাস।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫: সেদিন যা হওয়ার কথা ছিল !!সবেমাত্র ফজরের আজান শেষ, বাড়িতে পতাকা উড়ানো হয়ে গেছে। এর মাঝেই মুহুর্মুহু গুলির বিকট শব্দে আকাশ প্রকম্পিত। এক এক করে সব শেষ। খুনিদের উল্লাসের সাথে সাথে নিষিদ্ধ ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি। স্তব্ধ বিবেক, স্থবির দেশ তথা পৃথিবী। হত্যাকাণ্ডের দিনটি ছিল শুক্রবার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি, বিধি অনুযায়ী তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। চ্যান্সেলর হিসেবে প্রথম পরিদর্শনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেজেছিল নতুন সাজে। তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে উন্মুখ তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারীরা। পরিদর্শনসূচির ডালা পরিপূর্ণ, বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনায় প্রবেশ করে, প্রথমে স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ শিক্ষকদের কবর জিয়ারত শেষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন, তাঁকে গার্ড অব অনার জানাতে প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউওটিসির ক্যাডেটরা। বঙ্গবন্ধুকে মাল্যভূষিত করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ ও বিভাগগুলোর মধ্যে একমাত্র সমাজবিজ্ঞান ও পরিসংখ্যান বিভাগ পরিদর্শন করবেন।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জাদুঘর দেখে তিনি সায়েন্স অ্যানেক্স ভবন অতিক্রম করার পথে পরিসংখ্যান ইন্সটিটিউট এর ডাটা প্রসেসিং ইউনিটও পরিদর্শন করার কথা ছিল। পরে জগন্নাথ হলে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতে ছাত্র-শিক্ষকদের হত্যা করে যে গণকবর স্থাপিত হয়েছিল, সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে কার্জন হলের মুল অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। পরে বেলা ১১.৪০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত ছাত্র-শিক্ষক অফিসার এবং কর্মচারীদের সম্মিলিত সভায় যোগদান করার সূচিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। (তথ্যসূত্র: দৈনিক বাংলা, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুকে প্রতীকী সম্মান জানানোর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত রূপোর তৈরি একটি ক্রেস্ট তৈয়ার করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ‘রবীন্দ্রভক্ত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান’কে দেওয়ার জন্য রবীন্দ্র রচনাবলীর কয়েক খণ্ড সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুল মতিন চৌধুরীর বাসায় বঙ্গবন্ধুর চা-চক্রে মিলিত হতে চেয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আগমন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা ছিলেন জীবন্ত এবং আলোড়িত। বঙ্গবন্ধুকে যেতে হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনুষ্ঠানে যাওয়ার ৫ ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে খুনিরা।
বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তার মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। কেননা একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন অমর তিনি। সমগ্র জাতিকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রেরণায় প্রস্তুত করেছিলেন ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তাই চিরঞ্জীব তিনি এ জাতির চেতনায়। বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম। যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিল গোটা দেশ। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষ দর্শনে দেশের সংবিধানও প্রণয়ন করেছিলেন স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। শোষক আর শোষিতে বিভক্ত সেদিনের বিশ্ববাস্তবতায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের পক্ষে।
যে নেতার বুকভরা ছিল গভীর ভালোবাসা, বাংলার মানুষ বাংলার আকাশ বাতাস, মাটিকে যিনি গভীর ভালোবাসায় সিক্ত করেছিলেন, সেই বাংলার মাটি তার বুকের রক্তে রঞ্জিত হলো কয়েকজন ঘাতক ও বেইমানের চক্রান্তে। বঙ্গবন্ধুর ধারণাই ছিল না এই বাঙালি তাঁকে হত্যা করতে পারে। তাইতো দেশের রাষ্ট্রনায়ক হয়েও সাদামাটা নিরাপত্তাহীন এক বাসভবনে তিনি বসবাস করতেন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি এখন বঙ্গবন্ধুর উদার চিন্তা আর ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের কালরাত্রির সাক্ষী হয়ে আছে। এই বাড়ির সিঁড়িতেই লুটিয়ে পড়েছে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত জাতির পিতার লাশ। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর হওয়া এই বাড়িটি ঘাতকদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন ও নৃশংসতার উদাহরণ হিসেবেই থাকবে আগামী সময়।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার সকল দুরভিসন্ধির সাথে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী ও পাকিস্তানী চক্র এবং তাদের এ দেশীয় দালালদের গোপন আতাতের কথা আজ দেশের মানুষের কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে। আজ মানুষ বুঝতে পেরেছে বঙ্গবন্ধু হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বাংলাদেশের নাম চিরতরে মুছে ফেলবে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে। কিন্তু তাদের সেই বিশ্বাসঘাতকতা, উচ্চবিলাসী ধ্যানধারণা বাস্তব রূপ লাভ করেনি। সূর্য অস্তমিত হলেই তারপর জোনাকিরা জ্বলে। কিন্তু জোনাকিরা কখনোই সূর্যের বিকল্প হতে পারে না। যতোই দিন যাচ্ছে এ সত্য স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। বাস্তবতা হলো, তিনটি জিনিসকে কখনো চাপা দিয়ে রাখা যায় না। আর এই তিনটি জিনিস হলো- চন্দ্র, সূর্য এবং সত্য। ইতিহাস তো নির্মম সত্যেরই আরেক নাম, তাই ইতিহাস কখনো চাপা থাকে না। সত্য উন্মোচিত হয় মিথ্যার আড়াল থেকে। ১৯৭৫ পরবর্তি নানা রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বাঙালির ইতিহাসের এই মহানায়ককে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা অপচেষ্টাই ছিল মাত্র। যে বাংলার মাটিতে মিশে আছে বঙ্গবন্ধুর প্রাণ, সেই মাটির গন্ধ তো আর বদলে দেয়া যায় না। তাই টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে শুয়ে থেকেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাগ্রত ছিলেন এবং এখনো আছেন বাঙালির অন্তরের আলো হয়ে। তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশের কোটি কোটি দেশপ্রেমিক মানুষের মনে চেতনার বাতিঘর হিসেবে তিনি জাগ্রত আছেন। তাই তিনি থেকেও ছিলেন আলোকবর্তিকার মতো, না থেকেও আছেন বাঙালির হৃদয়জুড়ে। বিনম্র শ্রদ্ধা হে চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নিতে হলে তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের নতুন করে শপথ নিতে হবে। নূতন প্রত্যয়ে বলীয়ান হয়ে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবং বঙ্গবন্ধুর কাক্সিখত অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিতে পারলেই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, মার্কেটিং বিভাগ।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর।
smh.mk@brur@ac.bd