স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ গ্যাস্টিকের কারনে পেটের ব্যথা নিয়ে তেরো বছরের এক কিশোরী চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শহরের বেসরকারি জেনারেল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষা করায় ওই কিশোরীর। এরপর রির্পোট দেয় কিশোরী গর্ভবতী। অবিবাহিত স্কুলছাত্রীর এই অবৈধ গর্ভপাত করার জন্য ক্লিনিক কর্তপক্ষ ১০ হাজার টাকাও দাবি করে। এমন ঘটনায় ওই কিশোরী মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে ও মঙ্গলবার(১৩ জুন) গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। কিন্তু পরিবারের লোকজনের কারনে কিশোরী প্রাণে রক্ষা পায়। তাকে পরিবারের লোকজন সার্বক্ষনিক নজরদারির মধ্যে রেখেছে। এদিকে এ ঘটনায় এলাকাবাসী ভূযা রির্পোট প্রদানকারী ওই ক্লিনিক বন্ধের দাবি করেছে।
অপর দিকে ওই কিশোরীর বড় বোন বলেন, আমরা ঘটনার দিন থেকে বোনকে পাহারা দিচ্ছি। সে আহত্যারও চেষ্টা করেছে। আমি এর উপযুক্ত শাস্তি চাই ওই কিনিকের।
এর আগে কিশোরীর পরিবার ও এলাকাবাসী এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রির্পোট পাওয়ার পর ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা ও মা বলেন, রবিবার(১১ জুন) বিকেলে প্রচন্ড পেটে ব্যথা নিয়ে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আমরা আমাদের মেয়েকে নিয়ে যাই। পেট ব্যথার ফলে ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষা করায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে আমাদের মেয়েকে গর্ভবতী দেখানো হয়। আমাদের সন্দেহ হলে মেয়েকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। মেয়ে ওই রির্পোটের কথা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এরপর সন্দেহ হলে আমরা আরও দুটি ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন টেস্ট করাই মেয়ের। সেখানে রিপোর্ট স্বাভাবিক আসে। বাবা ও মা আরও বলেন বাচ্চাটিও পাগলের মতো হয়ে গেছে। আত্মহত্যার চেস্টা করে। আমরা তাকে নানাভাবে বোঝাচ্ছি। এমন অবস্থায় আমারে সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিলো তারা। সে এখন স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবে না। সবাই আঙুল তুলবে তার দিকে। আমরা এর বিচার চাই। একই সঙ্গে ক্লিনিকটি বন্ধ চাই।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে জেনারেল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাঃ নেহারঞ্জন সাহা বলেন, মেশিনের সমস্যার কারণে আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট ভুল হতে পারে।এ জন্য আমরা ক্ষমা চেয়েছি।
ওই ক্লিনিকের টেকনোলোজিস্ট লক্ষণ রায় বলেন, আমি ওই কিশোরীর প্রস্রাব পরীক্ষা করিনি। হয়তো ক্লিনিকের অন্য কেউ করেছে।