লেলিন আহমেদ, কিশোরীগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্মকর্তা পরিচয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মুনমুন আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী আতিয়া খাতুন বগুড়া ধুনটা থানায় দুইজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার উত্তর বড়ভিটা বিন্যাকুড়ি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে উক্ত এলাকার মোকলেছুর রহমানের মেয়ে। এ মামলায় মুনমুন আক্তারের ভাই রাসেল মিয়া(২৪) আসামী। টাকাসহ সে পলাতক রয়েছে।
শনিবার(১২ জুলাই) আসামীকে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছর (২০২৪) আসামীদের সঙ্গে ফেসবুকে আতিয়া খাতুনের পরিচয় হয়। এতে উক্ত আসামীগণ তাকে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট অফিসার পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে আতিয়া খাতুনকে আসামীরা ভুয়া কাগজপত্র দিলে তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী আতিয়া খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, রাসেলের সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয় হয়। তিনি আমাকে সেনাবাহিনীর বড় অফিসার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। পরে তিনি আমাকে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে চাকরি দিবে বলে কয়েকদফায় বিভিন্ন পরিমাণে টাকা দাবি করে। এমনকি তার বোন মুনমুনকে সেনাবাহিনীর বড় অফিসার বলে আমার সাথে কথা বলায় দেয়। আমি তাকে বিশ্বাস করে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি। পরে সে আমাকে ইমেইলের মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র পাঠিয়ে দেন। এতে আমি বুঝতে পারি সে আমার সঙ্গে প্রতারনা করেছে সেটি বুঝতে পেরে মামলা দায়ের করি।
এবিষয়ে কিশোরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে বগুড়া ধুনট থানার একটি টিম অভিযানে আসলে আমাদের থানা পুলিশের সহায়তা প্রতারক মুনমুন আক্তারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। পরে আসামীকে বগুরা ধুনট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তার ভাই রাসেল টাকা সহ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।