আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

পারবে তো উত্তরবাংলা !

মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, সকাল ০৬:০২

মহিউদ্দিন মখদুমী

ছুটছে পৃথিবী। তার সঙ্গে পাল্টা দিয়ে ছুটছে আমাদের জীবন। প্রতিদিনের এই জীবন প্রণালিতে চিহ্ন রেখে যায় গত হয়ে যাওয়া সময়। আগামীর জন্য যে পথ চলা, তাতেও ভূমিকা রেখে চলে সময়। এই সময়ের স্রোতে পাল্টে যাচ্ছে সাংবাদিকতার ব্যাস ও বিন্যাস অথবা ধরন ও ধারণা।

বলা হচ্ছে, গণমাধ্যমের বড় শক্তি প্রিন্ট মিডিয়াকে আস্ত গিলে খাচ্ছে অনলাইন মিডিয়া। আবার অনলাইনে বড় শক্তি নিয়ে যুক্ত হয়েছে ফেসবুক নামের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। সংবাদের বড় সূত্র হয়ে দেখা দিয়েছে ফেসবুক। এ জন্যই বোধ হয় প্রতিটি প্রিন্ট মিডিয়া নিজের অনলাইন সংস্করন এবং ফেসবুক পেজ চালু রেখেছে। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম কথাই হলো দ্রæত করো। যা চাই দ্রæত। সময় নষ্ট করার সময় হাতে নেই। যা প্রয়োজন জলদি, দ্রæত। এই দ্রæত গামীতার যুদ্ধ আমাদের যাপিত জীবনের অনেক কিছু বদলে দিয়েছে। যেমন হাত ঘড়ি, হ্যারিকেন কিংবা টর্সলাইট এবং কমেছে কলমের ব্যবহার। আরো অনেক কিছু। 

স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং গনমাধ্যম বাংলাদেশের জন্য আর্শিবাদ। অথবা বলা যেতে পারে কষ্টে অর্জিত এই দেশের রক্ষা কবচ গনমাধ্যম। স্বাধীন গনমাধ্যমই দেশে গনতন্ত্র এনেছে। গনমাধ্যমের এই যে স্বাধীনতা তা যদি না থাকতো তবে দেশটাকে, দেশের নাগরিক অধিকার গুলোকে হাতের তালুতে নিয়ে চেটে পুটে খেতো রাঘব বোয়ালরা। গনমাধ্যম গুলো দেশের ও নাগরিকদের নিয়ে রাজনীতিক সরকারের নানান অদেখালপনার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ না করলে দেশটা কোথায় কার হাতে চলে যেত সেটা ভাবলেই গাঁ শিউরে উঠে। এজন্য দেশের গনমাধ্যম গুলোর সাহসী সাংবাদিকদের স্যালুট। গণমাধ্যমের গ্রহে উত্তর বাংলার আতœপ্রকাশ তরঙ্গ, ঢেউ, তীর, সুই, বুলেট বোমার মতো। যা কাঁপিয়ে তুলবে, বিদ্ধ করবে, বিস্ফোরিত করবে সব অশুভ আয়োজনকে। যারা পতিতকে লাথি মারে তাদের পা থামিয়ে দেবে। উত্তর বাংলা গনমানুষের ভাষাকে ধারণ করে অদৃশ্য চিৎকার করবে, হুংকার ছেড়ে গর্জে উঠে বিদুরীত করার চেষ্টা করবে অন্ধকারকে। দেশটাকে দেখাবে ভালোর আলো । এমনটা এই মুহুর্তে আশা করা যায়। কারণ উত্তর বাংলার ১০ বছর পেরিয়ে গেল যে!

১০ মানেই হলো গর্জে উঠার বয়স। যেমন ১০ বছরে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে হয় না। বরং ১০ বছরের সন্তান মাকে নির্দেশ করে বলে-ভাত দে, নইলে ভেঙ্গে ফেলব সবকিছু। উত্তর বাংলা ১০ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ, সমৃদ্ধ। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দায়বদ্ধতার দায়িত্ব কাঁেধ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে তো? পারবে তো এই বন্ধুর পথে চলে সফল হতে ? আবার এও প্রশ্ন হতে পারে পক্ষপাতিত্ব করে ফায়দা লুটানোর এই সময়ে উত্তর বাংলা কোন পথে যাবে? ডানে-বামে-স্থির-নাকি আমজনতার পক্ষে। উত্তর বাংলা যদি ডানে-বামে কোন পক্ষ নেয়। তাহলে পক্ষপাতিত্ব হবে। গনমানুষ সরে যাবে পাশ থেকে। তবে শত্রæ বা প্রতিপক্ষ থাকবে না। উত্তর বাংলা যদি গনমানুষের পক্ষ নেয় তাহলে লোভীদের রোষানলে পড়ার সম্ভাবনা শতভাগ। কিন্ত গনমানুষের পক্ষ নিয়ে লোভীদের সৃষ্ট রোষানলে কিংবা বিপদে পড়া বা প্রতিকুলতার মুখোমুখি হওয়া তৃপ্তির, আনন্দের। আমি মনে করি উত্তর বাংলা আনন্দের শেষ পথটি গ্রহন করবে।

মুক্ত সাংবাদিকতার ক্ষেত্র তৈরী হওয়ায় সাংবাদিকদের সংখ্যা এখন অসংখ্য। একটা সময় ছিল সাংবাদিক শুনলে অপরাধীদের মনে আতংক সৃষ্টি হতো । বর্তমান নানাবিধ কারণে নৈতিকতা হারিয়েছে সংবাদকর্মীরা। সাংবাদিকরা প্রতিহিংসায় প্রতিপক্ষ হয় অপর সাংবাদিকের। উর্ধ্বতনরা অধঃস্থনদের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে। সেজন্যই দেশের চলমান রাজনীতিক অঙ্গনের মতো বিভক্ত হচ্ছে সাংবাদিক সমাজ। আলাদা আলাদা প্রেস, আলাদা আলাদা ক্লাবে বিভক্ত হয়েছে বলেই এই মহান পেশাটি এখন প্রশ্ন বিদ্ধ। মতানৈক্য ও সমন্বয়হীনতার কারণে গোপন ফাঁটল দৃশ্যমান। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা সংবাদ দেখছি। এমন সব সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে যা পাঠে পাঠকরাও লজ্জ্বাবোধ করছেন অথবা দেখে হতবম্ব হচ্ছেন। এ পর্যন্ত দুই একজন ছাড়া বিশ্লেষণধর্মী সংবাদ কেউ করেনি। চাটুকদার সংবাদ করা হচ্ছে। অথচ একটু চিন্তা করলে কি কি সংবাদ করা যায় বের করা সম্ভব। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সংবাদের সহজ হিসেবটা হলো, প্রার্থীরা ব্যতিক্রমি কি কি করছে। প্রচারণায় নতুন মাত্রা এসেছে কি না। বর্ধিত এলাকার ভোটারদের ভাবনা কি? কোন ভোট গুলো কোন প্রার্থীর জন্য ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে? কোন এলাকায় মেয়র প্রার্থী যায়নি। ভোটারদের শ্রেনি বিভাগ করে তাদের ভোট কোন পক্ষে যেতে পারে? কোন প্রার্থী গোপন কৌশলে এগুচ্ছে। আন্ডারডগ কোন প্রার্থী আছে কি না? ভোট প্রভাবিত হতে পারে কি না। ভোটের পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে? উত্তরণের পথ কি? কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে কোন কোন ওয়ার্ডে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের বার্তা কি? কতটি ইভিএম, কতজন প্রিজাইডিং-সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার থাকবে। পুলিশ, র‌্যাব, ষ্টাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ, আনসার সদস্য কতজন করে থাকবে? কোন ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র নিরাপদ নয় ইত্যাদি নানা নতুন বিষয়ে সংবাদ তৈরী করা যেতে পারে। অথচ কিছু প্রিন্ট, অনলাইনের সংবাদ কিংবা ফেসবুক পেজে এমন সব লাইভ দেখানো হচ্ছে যা দেখে/ পড়ে সাংবাদিকতার ‘স’ ও জানে না নাবালক এমন মন্তব্য না করে ইঁচরেপাকা ছাড়া অন্য কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না। স্বাধীন সাংবাদিকার আড়ালে সংবাদকে ধর্ষণ করা মেনে নিতে পারি না বলেই কথা গুলো লিখে ফেললাম। 

২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর মুরাদ মাহমুদ কেন যে উত্তরবাংলা ডটকম অনলাইন মিডিয়াটি চালু করেছিল তা এখনো জানা হয়ে উঠেনি। কিন্তু সত্যাশ্রয়ী সংবাদ ও নীতিবান সাংবাদিক এই দু’য়ের মিলিত ¯্রােতে উত্তরবাংলা কোন পক্ষের সেবাদাস হবে না এটি আমি বিশ^াস করি। এক সময় উত্তরবাংলায় লিখতাম। উত্তরবাংলা আমার পরিচয়ের ব্যাপ্তি বাড়িয়েছে। এই ঋণ শোধ করার মতো নয়। আশার কথা হলো, সুন্দর সত্যের জন্য প্রতিশ্রæত বাছাই করা শিক্ষিতরা সাংবাদিকতা পেশায় আসতে চাচ্ছে। অনেক ঝুকিঁ জেনে অদম্য মনোবল নিয়ে নতুনেরা উত্তরবাংলা ডটকমে যোগদান করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। প্রথাগত বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এঁরাই সৃষ্টি সম্ভাবনার আলোয় ভরিয়ে দেবে উত্তরবাংলা ডটকমের অঙ্গন। এগারোতম বছরে পা দেবার শুভক্ষণে উত্তরবাংলা ডটকমের জন্য এই কামনা করি।

সাংবাদিক ও লেখক

১৩-১২-২০২২

 

 

মন্তব্য করুন


 

Link copied