আর্কাইভ  শনিবার ● ১২ জুলাই ২০২৫ ● ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ১২ জুলাই ২০২৫
সারা দেশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
সারা দেশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা

সারা দেশ উত্তাল ছিল ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
সারা দেশ উত্তাল ছিল ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে

‘পানি খাওয়াতে মিরপুর থেকে এসে ফার্মগেটে হিটস্ট্রোক করেন আঙ্কেল’

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
‘পানি খাওয়াতে মিরপুর থেকে এসে ফার্মগেটে হিটস্ট্রোক করেন আঙ্কেল’

সড়ক-রেলপথ অবরোধ, শাহবাগে কর্মসূচি

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
সড়ক-রেলপথ অবরোধ, শাহবাগে কর্মসূচি

দেশের প্রতিটি জেলার জজশীপে একটি করে ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করা হচ্ছে- প্রধান বিচারপতি

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, বিকাল ০৫:১৭

Advertisement

স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান উত্তরবঙ্গের রংপুর বিভাগের নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও দিনাজপুর জেলায় ৫দিনের সরকারী সফরে রয়েছেন। এই সফরে তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধের গনকবর, বধ্যভুমি, মুক্তিযুদ্ধের যাদুঘর, বিলুপ্ত সাবেক ছিটমহল পরিদর্শন করছেন। 
পাশাপাশি জেলাগুলোর বিচারক, আইনজীবি ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় এবং জেলা জজশিপের চত্বরে বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের নবনির্মিত বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ উদ্ধোধন করেছেন। এ ছাড়া বিচারকদের বিভিন্ন এজলাস ঘুরেও দেখেন তিনি। এর আগে অধুনালুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়া পরিদর্শন ও বিলুপ্ত ছিটবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান বিচারপতি।
এক হাজার বর্গফুটের ন্যায়কুঞ্জে নারী-পুরুষদের আলাদাভাবে ৭২টি বসার স্থান, মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষ, পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা বাথরুম, খাবার ক্যান্টিন, সুপেয় পানি এবং অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে রংপুরে ও বিকালে নীলফামারী জজশীপ চত্বরে নবনির্মিত ন্যায়কুঞ্জ উদ্ধোধন ও মতবিনিময় সভা করেন। এর আগে প্রধান বিচারপতি গত মঙ্গলবার (২১ মে) কুড়িগ্রাম, বুধবার (২২ মে) লালমনিরহাট ন্যায়কুঞ্জ উদ্ধাধন করেছিলেন। 
প্রধান বিচারপতি দিনাজপুর সফল শেষে শনিবার(২৫ মে)  বিকালে ঢাকা ফিরবেন।
এই সকল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ন্যায়বিচার মানুষের মৌলিক অধিকার। প্রত্যেকটি মানুষ, প্রত্যেকটি নাগরিক যেন রাষ্ট্রের কাছে ন্যায়বিচার পায় সেটা সংবিধানে বলা হয়েছে।  ন্যায়কুঞ্জ বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বিচারপ্রার্থী মানুষের কোর্টে এসে যে কষ্ট হয় সেই কষ্ট লাঘবে ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করা হয়েছে। এখানে বসে বিচারপ্রার্থীরা বিশ্রাম নিতে পারবেন। প্রধান বিচাপতি বলেন, ন্যায়বিচার প্রাপ্তির প্রথম কাজটি করেন বিচারকগণ। কিন্তু বিচারকাজ চলার সময় বিচারপ্রার্থীদের যদি ডেকে পাওয়া না যায় তাহলে বিচারকাজ শেষ করতে বিলম্ব হয়। সেজন্য বিচারপ্রার্থীরা যদি একটু আরামে, ভালোভাবে অবস্থান করতে পারেন তাই আজকের এই ন্যায়কুঞ্জ। দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।
মামলার দীর্ঘসূত্রতা লাঘবে জেলা জজের নেতৃত্বে অন্য বিচারকগণসহ সংশ্লিষ্টরা যেন আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন সেই আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকরা লেখনীর মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ালে আদালতে মামলা অনেকাংশে কমে আসবে বলে যোগ করেন। কারন মানুষ এখন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা করে। ফলে মামলাজট ও দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা সচেতনতা বাড়ালে এসব মামলা কমে আসবে।
প্রধান বিচারপতি আইনজীবিদের উদ্যেশে বলেছেন আইন পেশা একটি মহান পেশা। দেশের কল্যাণে এই পেশাকে কাজে লাগাতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা যেন নিস্পত্তি হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। মামলার জট কমাতে আইনজীবীদের ভূমিকা রয়েছে। এজন্য সাধারণ মানুষকে আইনি পরামর্শ দিয়ে বোঝাতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নীলফামারীর অনুষ্ঠান শেষে প্রধান বিচারপতি স্থানীয় সার্বিটহাউসে পঞ্চগড় জেলার বিচারকদের সাথে মতবিনিময় করেন। প্রতিটি জেলার অনুষ্ঠানে জেলা জজ সহ সকল বিচারক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
প্রধান বিচারপতির সফরসঙ্গী হিসাবে রয়েছেন তাঁর সহধর্মিণী। এছাড়া আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুর রহমান ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এস, কে, এম তোফায়েল হাসান।

মন্তব্য করুন


Link copied