নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলা ব্যাটার পিটার মুর। ৩৫ বছর বয়সে গ্লাভস, ব্যাট ও হেলমেট তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে মোট ১৫টি টেস্ট, ৪৯টি ওয়ানডে এবং ২১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
হারারেতে জন্ম নেওয়া মুর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন জিম্বাবুয়ের হয়ে, পরে আয়ারল্যান্ডে পাড়ি জমান। গেল ফেব্রুয়ারিতে বুলাওয়েতে নিজের সাবেক জাতীয় দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি।
মুর ২০১৪ সালের নভেম্বরে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে জিম্বাবুয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন। ২০১৬ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে তিন ফরম্যাটে অভিষেক সম্পন্ন করেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে মোট ৮টি টেস্ট, ৪৯টি ওয়ানডে এবং ২১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মুর।
২০২২ সালের অক্টোবরে আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন মুর। দাদি আইরিশ নাগরিক হওয়ায় মুরের কাছেও আইরিশ পাসপোর্ট ছিল।
এরপর ২০২৩ সালের মার্চ-এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট দলে প্রথমবারের মতো ডাক পান তিনি। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৭টি টেস্ট খেলেন মুর।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে প্রথম টেস্ট খেলার আগে এক সাক্ষাৎকারে মুর বলেছিলেন, আমি এখনও বিশ্বাস করি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার তিন-চার বছর ভালো খেলার সামর্থ্য আছে। যদিও গত কয়েক বছরে জিম্বাবুয়ের হয়ে কয়েকটি বিশ্বকাপে খেলা হয়নি। আমি আশা করি আগামী বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারবো।
তবে শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের হয়ে কোনো ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারেননি মুর। টেস্টে তার পারফরম্যান্সও আগের তুলনায় খারাপ ছিল। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৮টি টেস্টে ৩৫.৫৩ গড়ে পাঁচটি অর্ধশতক করেছিলেন। অথচ আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৭ টেস্টে গড় ছিল মাত্র ১৪.৩৫, যেখানে হাফসেঞ্চুরি মাত্র একটি।
মুরের একমাত্র হাফসেঞ্চুরিটিই ছিল বিশেষ কিছু। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় এনে দেওয়া টেস্টেই এই ইনিংসটি খেলেন তিনি।
পিটার মুর ১৭ জন ক্রিকেটারের একজন, যারা দুইটি ভিন্ন দেশের হয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন।