আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৫ ● ৪ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৫

প্রতিদিন কলা কেন খাবেন

বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২, দুপুর ০৩:৩২

Advertisement Advertisement

সবচেয়ে সহজলভ্য ফলের কথা বলতে গেলে সবার আগে আসে কলার নাম। সহজলভ্যতার কারণে অনেকের কাছে কলার কদরও কম। তবে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই ফলটি শরীরে শক্তি যোগানো ছাড়াও নানা সমস্যার সমাধান করতে পারে। ক্যান্ডির প্রাকৃতিক সংস্করণও বলা যেতে পারে কলাকে। পাকা কলার মিষ্টতার জন্য এটি প্রক্রিয়াজাত মিষ্টান্ন খাবারের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। কলাতে প্রাকৃতিক চিনি ছাড়াও ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। তাই স্বাস্থ্যকর ডায়েটে কলাকে স্থান দিতে পারেন।

প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কলায় আছে ১১৬ ক্যালোরি, ক্যালসিয়াম ৮৫ মি.গ্রা., আয়রন ০.৬ মি.গ্রা, অল্প ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ৮ মি.গ্রা., ফসফরাস ৫০ মি.গ্রা.,পানি ৭০.১%, প্রোটিন ১.২%, ফ্যাট/চর্বি ০.৩%, খনিজ লবণ ০.৮%, আঁশ ০.৪%,শর্করা ৭.২%।

কলার উপকারিতা সমূহ:

* কলা বিষণ্ণতা হ্রাস করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন দুটি কলা খেলে এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কলার উপাদান মস্তিষ্কে সুখী হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়।

* কলার মধ্যে থাকা আয়রন রক্তকণিকা ও হিমোগ্লোবিন তৈরিতে কাজ করে। আয়রনের ঘাটতিতে রক্তস্বল্পতা হয়। দিনে দুটি করে এক মাস কলা খেলে রক্তের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হবে। 

* কলা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে গর্ভাবস্থায় সকালের ক্লান্তি ভাব দূর করে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কলা খাওয়া ভালোভাবে প্রসব হওয়ার জন্য উপকার পাওয়া যায়।

* শরীরের ভেতরের উপকার ছাড়াও বাইরের সৌন্দর্যের জন্যও কলা উপকারি। এছাড়া হলুদ রং-এর কলা এনার্জি এনে দেয় এবং পাকস্থলীকে সক্রিয় রাখে।

* অতিরিক্ত জ্বর কিংবা হঠাৎ ওজন কমে গেলে কলা শরীরে শক্তির সঞ্চার করে এবং তাড়াতাড়ি দুর্বলতা কাটায়।

* কলায় কম সোডিয়াম এবং উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন দুটি কলা খেলে ৪০ শতাংশ হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়া পটাশিয়াম থাকার হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য কলা একটি উপকারী ফল।

* দাঁতের উপরে থাকা ময়লা ও দাগ দূর করতে কলারে জুড়ি নেই। মিনারেলে ভরপুর কলার খোসা প্রায় দুই মিনিট ধরে দাঁতের উপর ঘষলে দাঁতকে সাদা ঝকঝকে করে তুলতে পারে।

* কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি৬, বি১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম শরীরে নিকোটিনের প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে। তাই ধূমপান ছাড়তে হলে কলা বেশ উপকারি।

* কলা ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যালেন্সড-ডায়েটের অংশ হিসেবে কলা খেলে ক্ষুধা কমে যায়। কলায় থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ নামক ফাইবার কম ক্যালরি খেতে ও ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

* কিডনির সুস্থতার জন্যও কলা উপকারি। প্রতিদিন একটি কলা খেলে কিডনির সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে। কলায় থাকা পটাশিয়াম শরীর থেকে বাড়তি ক্যালসিয়াম বের করে দেয়। ক্যালসিয়াম হলো কিডনি পাথরের অন্যতম বিল্ডিং ব্লক।

মন্তব্য করুন


Link copied