স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ পাহারের অবিরাম ভারী বৃস্টি ও উজানের ঢলে বাংলাদেশের অংশের তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে। নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। সেখানে শনিবার (১১ জুন) সকাল ৬টায় নদীর পানি ৫২দশমিক ২৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হলেও তা আরও ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৫২দশমিক ২৮ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও যে কোন সময় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরন কেন্দ্র।
তিস্তা ব্যারাজ ও নদী তীরবর্তী মানুষজন জানান, শনিবারও তিস্তা অববাহিকায় বৃস্টিপাত হয়েছে। পাশাপাশি উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর এপার ওপার অথৈই পানিতে ভরে গেছে। তুলয়ে গেছে চরের ফসলি মাঠ ও পথঘাট। কয়েকদিন আগেও যেখানে পায়ে হেটে চলাচল করা যেতো। সেখানে এখন নৌকা করে চলাচল করতে হচ্ছে।
উজানের ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে নীলফামারী অংশের ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছঅতনাই, পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, জলঢাকা উপজেলা ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শৌলমারী, কৈমারী ও তিস্তা ব্যারাজের ভাটি লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকার নিম্লাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অতিরিক্ত পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের সকল (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তাার পানি এখনও বিপদসীমার ৩২সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।