আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৩ মে ২০২৫ ● ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৩ মে ২০২৫
কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা ট্রাম্পের

কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

আক্রমণের জন্য সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

আক্রমণের জন্য সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

বল এখন ভারতের কোর্টে: পাকিস্তান

যুদ্ধের দামামা
বল এখন ভারতের কোর্টে: পাকিস্তান

তিস্তা ব্যারাজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে তিন সদস্যের কমিটির তদন্ত শুরু

রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১, রাত ০৮:৫৪

Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারজকে অকেজো করার অভিযোগ উঠেছে।। চলতি বছরের গত ১৯ অক্টোবর রাতে উজানের বিশাল ঢল ধেয়ে আসলেও ব্যারাজের জলকপাট সময় মতো খোলা ছিলনা। এতে তিস্তা ব্যারাজকে অকেজো করার এক পরিকল্পনা বলে অভিযোগ করা হয়। সেই সঙ্গে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মো. মোতাহার হোসেন। সাংসদের  লিখিত অভিযোগে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আজ রবিবার তারা তদন্তের কাজ শুরু করছেন। সুত্রে মতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ড. মো. মিজানুর রহমানকে কমিটির প্রধান হিসাবে রয়েছে। তদন্ত শেষে আগামী সাত দিনের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। আজ রবিবার তদন্ত কমিটির পক্ষে নীলফামারী ডালিয়া এলাকার মানুষজনের সাক্ষাৎ ও কথা বলছেন তদন্ত কমিটি।

অভিযোগে জানা যায় তিস্তা ব্যারাজের প্রতি মিনিটে সাড়ে চার লাখ কিউসেক পানিপ্রবাহ করার ক্ষমতা রয়েছে। আর ফ্লাড বাইপাসের রয়েছে দুই লাখ কিউসেক পানিপ্রবাহের সক্ষমতা। কিন্তু চলতি বছরের গত ১৯ অক্টোবর রাত থেকে ২০ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত তিস্তা নদীতে উজানের ঢলে পানির প্রবাহ ছিল প্রতি মিনিটে ছয় লাখ কিউসেক। এতো বিপুল পরিমাণ পানি দ্রুত অপসারণের জন্য দরকার ছিল ৪৪টি জলকপাট একসঙ্গে খুলে দেওয়া। কিন্তু জলকপাট খোলা না থাকায়  প্রচন্ড পানির চাপে লন্ডভন্ড হয় ফ্লাড বাইপাস সড়কও  তিস্তা ব্যরাজের অবকাঠামো। ভেসে যায় অসংখ্য বসত ভিটা ও ফসলী জমি। এতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছিল। 

এদিকে এটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায় গত ১৯ অক্টোবর  সকাল থেকে তিস্তায় পানি ৫১ দশমিক ২৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল শুকনা নদী। তিস্তার বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। ফলে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাটের মধ্যে সম্পুর্ণ বন্ধ ছিল ৭টি, আংশিক খোলা ছিল ১৫টি। গত দুই বছর আগে তিস্তা ব্যারাজের জলকপাট খুলে দেয়া ও  বন্ধ করার জন্য অটোমেশন সিষ্টেম চালু করা হয়েছিল। এতে ব্যয় দেখানো হয় ৬ কোটি টাকা। কিন্তু সেই অটোমেশস পরিচালনার রাউটার চুরি হয়ে গেছে বলে গাইবান্ধা থানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক বিভাগ শুধু মাত্র একটি জিডি করেছিল। এরপর থেকে তিস্তা ব্যরাজের জলকপাট খোলা বন্ধ করা হতো ম্যানুয়াল পদ্ধতি অথাৎ হাত দিয়ে ঘুরিয়ে।

সূত্রমতে, গত ১৯ অক্টোবর উজানে ভারী বর্ষণের কারণে ভারত গজলডোবা ব্যারাজের গেট খুলে দেয়। এর ফলে তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে থাকে, যা রাত ১২টায় তিস্তা ব্যারাজে নদীর পানিপ্রবাহ বিপৎসীমা অতিক্রম করে। পানির চাপ সামলাতে না-পেরে পরদিন সকাল ১০টার দিকে ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস সড়কটি ভেঙে যায়। সে সময় স্থানীয় লোকজন ব্যারাজে উপস্থিত হয়ে কর্তৃপক্ষকে গেট খুলে দেওয়ার কথা বলেন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে গেট খোলার ব্যবস্থা হয়। কিন্তু তার আগেই অতিরিক্ত পানিপ্রবাহে লন্ডভন্ড হয় ফ্লাড বাইপাস।

এই রাতে ব্যারাজের উজানে ও ভাটির দিকে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে দুই শত পরিবারের ভিটেমাটি। বালু পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে দুই হাজার একর ভুট্টা, মরিচ, চীনাবাদাম ও আমন ধানের ফসল। এত বিপুল ক্ষয়ক্ষতির জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেন স্থানীয় সাংসদ মো. মোতাহার হোসেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ তিস্তা ব্যারাজ অকেজো করে পুনরায় সচল করার নামে কোট কোটি টাকা আত্নসাতের পায়তারা করছে একটি মহল। এই মহলটিকে চিহিৃত করে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

তবে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা প্রিন্সের দাবি, সাংসদের অভিযোগ সঠিক নয়। 

মন্তব্য করুন


Link copied